দেশের অন্যতম শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ অটো মেজর এ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ বলছে, রশিদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আব্দুর রশিদ ওরফে চাল রশিদ দেশের চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার ইশারায় দেশে চালের দাম উঠানামা করতো। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা সূত্র জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকার ইনাম ফিড মিলের মালিক আতিকুর রহমানের সঙ্গে চাল ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। পাবনার ঈশ্বরদীতে রশিদ ওয়েল মিলস লিঃ নামে আব্দুর রশিদের একটি তেলের কারখানা রয়েছে। রশিদের মিল থেকে ফিড মিলের কাঁচামাল কেনার জন্য আব্দুর রশিদকে চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৭ টাকা অগ্রিম প্রদান করেন আতিকুর। টাকা নেওয়ার পর দেড় বছর ধরে আটকিয়ে রেখে মালামাল ও টাকা কোনটায় দিচ্ছিলেন না রশিদ।
২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আব্দুর রশিদ ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসানকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আদালত সমন জারির পর আব্দুর রশিদ হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার বাদী আতিকুর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, আব্দুর রশিদ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে ছিলেন। আজ (গতকাল শনিবার) সন্ধ্যার একটু আগেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মজমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতেই তাঁকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আব্দুর রশিদ দেশের অন্যতম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের মালিক। ঋণখেলাপির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের দায়ের করা মামলা চলমান রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে।